রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আব্বাস বন্দরে যুদ্ধজাহাজটি নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু গত রোববার এটি হঠাৎ করে উল্টে যায়। পরবর্তীতে অবশ্য জাহাজটিকে সোজা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ মঙ্গলবার এটি পুরোপুরি ডুবে গেছে।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সংশ্লিষ্ট বার্তাসংস্থা নূরনিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, “সাহান্দ যুদ্ধজাহাজ, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সোমবার এটিকে সোজা করা হয়েছিল। কিন্তু জাহাজটিকে ধরে রাখা দড়ি ছিঁড়ে গেলে এটি ডুবে যায়।”
ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলো রোববার জানিয়েছিল, পানি প্রবেশ করায় যুদ্ধজাহাজ সাহান্দ উল্টে গেছে এবং এটিকে সোজা করার চেষ্টা চলছে।
ইরানের তৈরি এই যুদ্ধজাহাজটি ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে। এতে হেলিকপ্টার অবতরণের একটি ডেক, টর্পেডো লঞ্চার, বিমান ও জাহাজ বিধ্বংসী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ইরান নিজেই নিজের অস্ত্র উৎপাদন শুরু করে। ২০১০ সালে দেশটি নিজেদের তৈরি প্রথম ডেস্ট্রয়ার লঞ্চ করে। মূলত ওই সময় থেকেই নিজেদের নৌবাহিনীর সক্ষমতাকে উন্নীত করার চেষ্টা শুরু করে তারা। কারণ ইরানের কাছে এর আগে যেসব যুদ্ধজাহাজ ছিল তার সবগুলোই ছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের আগের।
এর আগে ২০২১ সালে ওমান উপসাগরে ইরানের নৌবাহিনীর জাহাজ খর্গ ডুবে যায়। সেখানে একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে গিয়েছিল জাহাজটি।